খিচুড়ি

দক্ষিন এশিয়ার অতি জনপ্রিয় খিচুড়ির বাঙালি সংস্করণ— মুগ ডাল এবং গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে তৈরি সুস্বাদু খিচুড়ি

  • রান্না করতে লাগবে
    ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট
  • ক্যালোরি
যে
২২৯
সদস্য এই রেসিপি রেঁধেছেন তাদের মধ্যে
পছন্দ করেছেন
৯৬.৭%
Mark as cooked
Cooked

Would you recommend this recipe?

Did this recipe work for you? Help the community by sharing your feedback.

Thank you! Your submission has been received!
Oops! Something went wrong while submitting the form.
Thank you! Your submission has been received!
Oops! Something went wrong while submitting the form.

উৎসবের দিন হোক বা রোজকার খাবার— খিচুড়ি খুব সহজেই এইসব বিভাগ-বিভাজন পেরিয়ে যেতে পারে। খিচুড়িকে দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন সংস্কৃতির একটা যোগসূত্র হিসেবেও দেখা যায়। চালেডালে মিশিয়ে সামান্য কিছু মশলা দিয়ে সাঁতলে নিলেই খিচুড়ি তৈরি, তবে কোন মশলা দেওয়া হবে সেটা যদিও এক এক জায়গায় এক এক রকম। মজার বিষয় হল খিচুড়ি একদম সাধারণ হবে নাকি রাজকীয় মহাভোজের মত হবে সেটা রাঁধুনি এবং খাদকের ইচ্ছের উপর নির্ভরশীল। চাইলে খুব তরিজুত করেও বানানো যায় আবার খুব সাদামাটা ভাবেও বানানো যায়। অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করার জন্য পাতলা কম মশলা দেওয়া খিচুড়ি, বর্ষার দিনে ধোঁয়া ওঠা গরম খিচুড়ি, আবার পুজোর দিনে ঠাকুরকে দেওয়ার জন্য ঘন ঘিয়ের গন্ধে ময়ময় করা খিচুড়ি— মা দুর্গার মত আমাদের খিচুড়িও বহুরুপে হাজির হন ভক্তদের কাছে।


আমরা এখানে যে খিচুড়ির কথা লিখছি, সেটা ভোগ এবং বর্ষার দিন, এই দুই উপলক্ষ্যের জন্যই উপযোগী। আমরা খিচুড়ি বানানোর জন্য সোনামুগ ডাল আর গোবিন্দভোগ চাল ব্যবহার করেছি, আশা রাখি এই দুইয়ের গন্ধের সাথে ঘিয়ের গন্ধ মিশে এক অনাবিল আনন্দে আপনাদের রান্নাঘর ভরে উঠবে।

Books in this recipe

No items found.
তোমরা কি এই রান্নাটা অন্যভাবে করো? আমাদের মেম্বারদের কমিউনিটিতে এই রেসিপি নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে চলে এসো
আড্ডায় যোগ দাও 🥳
This is some text inside of a div block.

রান্নার সরঞ্জাম

উপকরণ

Serves
  • ২০০ গ্রাম মুগ ডাল
  • ২০০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল
  • ২০০ গ্রাম আলু (৫ সেমির টুকরো)
  • ২০০ গ্রাম ফুলকপি (৫ সেমির টুকরো)
  • ১০০ গ্রাম টমেটো (চার-ভাগ করা)
  • ৮০ গ্রাম কড়াইশুঁটি (আধসিদ্ধ করা)
  • ২০ গ্রাম সাদা তেল
  • ১৫ গ্রাম সর্ষের তেল
  • ২ গ্রাম গোটা জিরে
  • ৩ টে ছোট এলাচ (গোটা)
  • ১ টা দারচিনি (গোটা)
  • ৩ টে লবঙ্গ (গোটা)
  • ৩ টে শুকনো লঙ্কা
  • ৪ টে তেজপাতা
  • ৪০ গ্রাম আদা বাটা
  • ৪০ গ্রাম নারকেল কোরানো
  • ৫ গ্রাম হলুদগুঁড়ো
  • ৫ গ্রাম জিরেগুঁড়ো
  • ২৫ গ্রাম নুন
  • ৫০ গ্রাম চিনি
  • ৫ টে কাঁচালঙ্কা (চেরা)
  • ১০ গ্রাম ঘি
  • ১/২ চা-চামচ গরমমশলা গুঁড়ো
  • ১.৮ লিটার গরম জল
Do you cook this differently? Add your version to the adda happening on our member’s forum.
Join the fun 🥳
This is some text inside of a div block.

প্রণালী

  1. গোবিন্দভোগ চাল খুব ভালো করে ধুয়ে একটা ঝাঁঝরির উপর ছড়িয়ে দিন। খোলা হাওয়ায় চালগুলো একদম শুকিয়ে নিতে হবে।
  2. আলু ৫ সেমি মাপের টুকরো করে কেটে নিন। ফুলকপি কেটে ফুলগুলো আলাদা করে বের করে নিন (৫ সেমি মাপের)। টমেটো চার ভাগে ভাগ করে নিন। কড়াইশুঁটি ছাড়িয়ে গরম জলে সামান্য ফুটিয়ে নিন।
  3. মাঝারি আঁচে কড়াই বসিয়ে তাতে মুগ ডাল দিন। শুকনো কড়াইয়ে মুগডাল যতক্ষণ না রঙ বদলে গোলাপি-বাদামি হচ্ছে এবং হালকা সুবাস বেরোনো শুরু হচ্ছে ততক্ষণ নাড়তে থাকুন। ডাল যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি পুড়ে যেতে পারে তাই খুন্তি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। এতে মোটামুটি ৬ মিনিট মত সময় লাগবে।
  4. সেঁকা হয়ে গেলে, একটা বড় পাত্রে ডাল ঢেলে ধুয়ে নিন। একবারই ধোবেন; বারবার ধুলে মুগ ডালের গন্ধ চলে যাবে। ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে জল ঝরিয়ে রাখুন।
  5. কড়াইয়ে ৫ গ্রাম সাদা তেল গরম করুন। আগে ধুয়ে শুকনো করে রাখা গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে দিন।
  6. চাল ভাজতে থাকুন, ৪-৫ মিনিট মত সময় লাগবে। ভাজা হয়ে গেলে চাল স্ফটিকের মত স্বচ্ছ হয়ে যাবে। ভাজার ফলে গোবিন্দভোগ চালের সুবাস আরো বেশি করে পাওয়া যায়। হয়ে গেলে চাল থালায় ঢেলে রেখে দিন।
  7. ওই কড়াইতেই আরো ১৫ গ্রাম মত সাদা তেল দিন। আলুগুলো সোনালি করে ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে, তেল থেকে তুলে আলাদা করে রাখুন। এবার কড়াইয়ে ফুলকপি দিয়ে হালকা হলুদ করে ভেজে তুলে রাখুন।
  8. একটা ছোট বাটিতে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, এবং জিরে গুঁড়ো জলে মিশিয়ে নিন। স্টোভে বা ইলেকট্রিক কেটলিতে জল গরম করতে বসিয়ে দিন।
  9. এবার মাঝারি আঁচে কড়াই বসিয়ে তাতে দিন ১৫ গ্রাম সর্ষের তেল। তেল গরম হলে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি এবং গোটা জিরে ফোড়ন দিন।
  10. দিয়ে দিন কুড়িয়ে রাখা নারকেল। তিন মিনিট মত ভেজে বাদামি করে নিন।
  11. এবার আগে তৈরি করে রাখা মশলার মিশ্রণটা (আদা বাটা, হলুদগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো) দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ভাজতে থাকুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যাচ্ছে এবং তেল বের হতে শুরু করছে। এতে মোটামুটি ৮ মিনিট মত লাগবে। যদি দেখেন যে মশলা শুকনো হয়ে কড়াইয়ে লেগে যাচ্ছে তবে ৫০ গ্রাম মত জল দিয়ে কষতে থাকুন।
  12. কড়াইয়ে টমেটো দিয়ে ২ মিনিট ঢেকে রান্না করুন।
  13. এবার ভেজে রাখা গোবিন্দভোগ চাল, সেঁকে নেওয়া মুগ ডাল, এবং দু-খানা কাঁচালঙ্কা চিরে নিয়ে দিয়ে দিন। মশলার সাথে সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ২ মিনিট মত রান্না করুন।
  14. ১.৮ লিটার মত জল আর নুন দিন। কড়াইয়ে ঢাকা দিয়ে ৫ মিনিট সব ফুটিয়ে নিন। গ্যাসের আঁচ একদম কম করে নিন এবং রান্না শেষ হওয়া অবধি ওরকমই রাখুন।
  15. জল টগবগিয়ে ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা আলু এবং ফুলকপি দিয়ে দিন। ঢেকে ১৫ মিনিট মত রান্না করুন। অনেকসময় ডাল কড়াইয়ের তলায় জমা হয়ে কড়াইয়ের গায়ে লেগে যেতে থাকে। তাই মাঝে মাঝেই খুন্তি নাড়তে হবে এবং কড়াইয়ের নীচের দিকটা ভালো করে চেঁছে নিতে হবে।
  16. পনেরো মিনিট হয়ে গেলে চিনি, সিদ্ধ করে রাখা কড়াইশুঁটি, এবং তিনখানা কাঁচালঙ্কা চিরে রান্নায় দিয়ে দিন। সবকিছু মিশিয়ে আরো ৩-৪ মিনিট মত রান্না করুন।
  17. একদম শেষে  সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো এবং ঘি ছড়িয়ে দিন। গ্যাস বন্ধ করে কড়াই ঢেকে ২ মিনিট মত রেখে দিন। বেগুনি আর আলুর দম সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Serve this with

No items found.